বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
মাসায়েলে তাওয়াফ
শাব্দিক অর্থঃ “তওয়াফ” -এর শাব্দিক অর্থ কোন জিনিসের চতুর্দিকে ঘোরা বা প্রদক্ষিন করা।
শরিয়াতের পরিভাষায়ঃ সুন্নাত তরিকায় কা’বা শরিফের চতুর্দিকে প্রদক্ষিন করার নাম “তাওয়াফ”।
তাওয়াফে জিয়ারত
তাওয়াফে জিয়ারতঃ আইয়ামে নহর”- এর কোন এক দিনে বাইতুল্লাহ্ শরিফ সাত বার প্রদক্ষিন করার নাম তাওয়াফে জিয়ারাত। এর আরও চারটি নাম আছেঃ ১) তাওয়াফে ফরজ। ২) তাওয়াফে ইয়াউমুন্নাহার। ৩) তাওয়াফে হিফাজত। ৪) তওয়াফে রুকন।
তাওয়াফে কুদুম
তওয়াফে কুদুমঃ তাওয়াফে কুদুম বলা হয় ।মক্কায়ে মুকাররমে প্রবেশের সময় বহিরাগত ব্যক্তিদের বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করা।এর ও চারটা নাম আছেঃ ১)তাওয়াফে তাহিয়্যাহ। ২)তাওয়াফে লিকা।৩)তাওয়াফে আহদে বাইত। ৪)তাওয়াফে আউয়ালুল আহদ।
তাওয়াফে বিদা
তাওয়াফে বিদাঃ তাওয়াফে বিদা বলা হয় , বহিরাগতদের হজ্জ শেষে বাড়ি ফেরার সময় বাইতুল্লাহ্ শরিফ তাওয়াফ করাকে। এর আরও দুটি নাম রয়েছেঃ ১) তাওয়াফে সদও, ২) তাওয়াফে আখিরিল আহদি বিলবাইতি।
ফাওয়ায়েদুল ফিক্বহি – ২৫৯ পৃঃ
হজ্জে মাবরুর
হজ্জে মাবরুরঃ হজ্জে মাবরুর বলা হয় ঐ হজ্জ কে যার সাথে সামান্যতম ও কোন প্রকার গুনাহ্ মিশ্রিত না হয়।
ফাওয়ায়েদুল ফিক্বহি – ২৫৯ পৃঃ
প্রশ্ন-উত্তর
**প্রশ্নঃ তাওয়াফ কাকে বলে ?
উত্তরঃ কা’বা ঘরের চার পাশে প্রদক্ষিন করাকে তাওয়াফ বলে। (ফাওয়ায়েদুল ফিকহি-৩৬৫)
**প্রশ্নঃ তাওয়াফের ফজিলাত কি ?
উত্তরঃ হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন ওমর রাঃ বলেন, আমি নবীয়ে কারিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি , যে ব্যক্তি তাওয়াফের সাত চক্কর দিবে ও তার গণনা ভালভাবে রাখবে , সে একটি গোলাম আজাদ করার সাওয়াব পাবে। আমি নবীয়ে কারিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে আরও বলতে শুনেছি, তাওয়াফকারি যে কদম রাখে ও উঠায়, তাতে তার প্রতি কদমে দশটি নেকি হয়, দশটি গুনাহ্ মাফ হয়, তার মর্যাদা দশ গুন বৃদ্ধি পায়। (সুনানে আহমাদ – ২-৩ পৃঃ)
**প্রশ্নঃ তাওয়াফ কত প্রকার ও কি কি ?
উত্তরঃ তাওয়াফ সাত প্রকার।
১) তাওয়াফে রুকন। যেমন উমরার তাওয়াফ হলো উমরার রুকন যা না হলে উমরা আদায়-ই
হবে না।
২) ফরজ তাওয়াফ। যা না হলে হজ্জ-ই হবে না। এর সঠিক সময় হলো, ১০ই জিলহজ্জ সকাল
থেকে ১২ই জিলহজ্জ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত।
৩) বিদায়ী তাওয়াফ।
৪) মান্নতের তাওয়াফ।
৫) তাওয়াফে কুদুম।
৬) তাওয়াফে তাহিয়্যাহ।
৭) নফল তাওয়াফ। (মানাসেকে মুল্লা আলী ক্বারী-১৪৩)
**প্রশ্নঃ তাওয়াফ করার নিয়ম কি ?
উত্তরঃ তাওয়াফ করার সময় প্রথমে কা’বা ঘরের ঐ কোনে আসবে যেখানে হাজরে আসওয়াদ রাখা। সেখানে এসে কা’বা শরিফের দিকে মুখ করে এভাবে দাড়াবে যে, হাজরে আসওয়াদ তার ডান পাশে থাকবে। তার পর তাওয়াফের নিয়্যাত করবে। সম্ভব হলে এভাবে নিয়্যাত করতে পারে-
উচ্চারণঃ আল্লহুম্মা ইন্নি উরিদু তাওয়াফা বাইতিকা ফা ইয়াস্ সিরহু লী ওয়া তাক্বব্বালহু মিন্নী।
তারপর একটু ডানে এসে হাজরে আসওয়াদের দিকে ফিরে নামাজে তাকবিরে তাহরিমার সময় যে পরিমান হাত তোলা হয়, সে পরিমান হাত তুলে এ দুআ’টি পড়বে।
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার লা- ইলাহা ইল্লাল্লহু।
হযরত নবীয়ে কারীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত উমর (রাঃ)কে ইরশাদ করেছিলেন – হে ওমর ! তুমি শক্তিশালী ব্যাক্তি হাজরে আসওয়াদ এর নিকট ভীড় করনা যাতে দূর্বলদেও কষ্ট হয়। যদি সুযোগ হয় তাহলে চুমু দিবে নতুবা হাজওে আসওয়াদ এর দিকে ফিরে তাকবির ও তাহলীল পড়বে (তাকবির অর্থ আল্লহু আকবার বলা, তাহলীল অর্থ লা- ইলাহা ইল্লাল্লহু বলা)। তারপর এই দুআ’টি পড়বে-
উচ্চারনঃ আল্লহুম্মা ই-মা-নাম্-বিকা ওয়া তাছদি-ক্বম্- বিকিতা-বিকা ওয়া ওফা-য়ি বিআ’হ্দিকা ওয়া ইত্তিবাআ’ল লিসুন্নাতি নাবিয়্যিকা মুহাম্মাদিন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
**প্রশ্নঃ তাওয়াফের ফরজ কি কি ?
উত্তরঃ তাওয়াফের ফরজ তিনটি – ১) নিয়্যাত করা। ২) কা’বা ঘরের বাইরে তাঁর সিমানার ভিতর তাওয়াফ করা। ৩) নিজে তাওয়াফ করা।
**প্রশ্নঃ তাওয়াফের ওয়াজিব কি কি ?
উত্তরঃ তাওয়াফের ওয়াজিব সাতটি-
১) ছোট বড় সকল নাপাকি থেকে পাক হওয়া।
২) সতর ঢাকা।
৩) হাজরে আসওয়াদ থেকে তাওয়াফ শুরু করা।
৪) সক্ষম ব্যক্তির জন্য পায়ে হেটেই তাওয়াফ করা, যদিও তা নফল তাওয়াফ হয়।
৫) এমন ভাবে তাওয়াফ শেষ করা যেন কাঁধ ক’বা ঘরের দিকে হয়।
৬) হাতিমে কা’বার বাহির দিয়ে তাওয়াফ করা।
৭) সাত চক্কর পূর্ণ করা।
**প্রশ্নঃ তাওয়াফের সুন্নাত কি কি ?
উত্তরঃ তাওয়াফ এর সুন্নাত ৯ টি –
১) ইজতেবা অর্থাৎ ডান কাঁধ উন্মুক্ত রাখা।
২) প্রথম তিন চক্কর রমল করা। ( অর্থাৎ পা কাছে কাছে ফেলে কাঁধকে বাহাদুরের মত খুব
হেলে-দুলে দ্রুত চলা।
৩) তাওয়াফ শুরু করার সময় হাজরে আসওয়াদ এর দিকে ফেরা।
৪) হাজরে আসওয়াদের সামনে দাড়িয়ে তাকবির তথা আল্লহু আকবার বলা সাধারণ ভাবেই সুন্নাত।
৫) তাকবির বলার সময় উভয় হাত কান বরাবর উঠানো সুন্নাত। কিন্তু নিয়্যাতের সময় হাত উঠানো বিদআ’ত। কারন তা হযরত নবীয়ে কারীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে প্রমাণিত নয়।
৬) প্রত্যেক চক্করেই হাজরে আসওয়াদ কে চুমু খাওয়া সুন্নাত। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে হাজরে আসওয়াদ এর দিকে ফিরে তাকবির বলবে এবং তাহলিল বলে সামনে অগ্রসর হবে।(তাকবির অর্থ আল্লহু আকবার বলা, তাহলীল অর্থ লা- ইলাহা ইল্লাল্লহু বলা)।
৭) পরপর ধারাবাহিক ভাবে বিলম্বহীন সাত চক্কর পূর্ণ করবে।
৮) তাওয়াফ শেষে দু’রাকাত নামাজ পড়বে, জমজম পান করবে।
৯) শরির, কাপড় ও তাওয়াফের স্থান হাক্বিক্বি নাপাক থেকে পবিত্র হওয়া সুন্নাতে মুআক্কাদাহ্ ।
**প্রশ্নঃ তাওয়াফের মুস্তাহাব কি কি ?
উত্তরঃ তাওয়াফের মুস্তাহাব ১৩ টি –
১)তাওয়াফ হাজরে আসওয়াদের ডান পাশ থেকে আরম্ভ করা।
২)হাজরে আসওয়াদে চুমু দেয়া তিনবার এবং তার উপর তিনবার সিজদা করা।
সর্তকতাঃএ সিজদা সুন্নাতের অনুসরনে একমাএ আল্লাহ তাআ’লার জন্য।
৩) রুকনে ইয়ামীনাতে চুমু দেয়া ও কপাল লাগানো ব্যতীত শুধু হাতে স্পর্শ করা।
৪) তাওয়াফের সময় বর্ণীত দুআ’ ও জিকির করা।
৫) তাওয়াফের সময় বর্ণীত দুআ’ ও জিকির আস্তে করা।
৬) পুরুষদের জন্য কাউকে কষ্ট না দেওয়ার শর্তে কা’বা ঘরের কাছাকাছি তাওয়াফ করা।
৭) তাওয়াফ কা’বা ঘরের দীড়ার বাহির দিয়ে করা।
৮) কোন কারণে তাওয়াফের চার চক্কর পূর্ণ করার পূর্বে যদি কেউ তাওয়াফ বাদ দেয় অথবা কোন
কারণে পূর্ণ তাওয়াফ বা আংশিক তাওয়াফ যদি কারও মাকরুহ ভাবে আদায় হয়, তাহলে
তাওয়াফ নতুন ভাবে আদায় করা।
৯) অপ্রয়োজনীয় কথা বার্তা ত্যাগ করা।
১০) প্রত্যেক তাওয়াফ এর পরে মুলতাঝামে গিয়ে নিজের শরির লাগিয়ে দেওয়া।
১১) তাওয়াফ এর দু’ রাকাত নামাজ আদায় করার পর জমজম পান করা।
১২) তাওয়াফে কাছে কাছে কদম রাখা।
**প্রশ্নঃ তাওয়াফের মাকরূহ কি কি ?
উত্তরঃ তাওয়াফের মাকরুহ্ সমূহ ২০ টি –
০১) বিনা প্রয়োজনে কথা বলা।
০২) শব্দ করে কুরআন তেলাওয়াত বা জিকির করা।
০৩) বেচা-কেনা করা।
০৪) নাপাক কাপড়ে তাওয়াফ করা।
০৫) রমল ও ইজতেবা না করা।
০৬) বিনা কারনে হাজরে আসওয়াদে চুমু না দেওয়া।
০৭) যদি কেউ হাজরে আসওয়াদ এর নিকট আগমনের পূর্বে তাওয়াফ এর নিয়্যাত করে হাত
উত্তলন করে, তাহলে চারও ইমামের নিকট তা মাকরুহ্ ।
০৮) বাইতুল্লাহ্ মূখি থাকা অবস্থায়, নিজের ডান দিকে না ঘুরে তাওয়াফ আরম্ভ করা।
০৯) সাত চক্করের মধ্যে ব্যবধান করা।
১০) তাওয়াফের মাঝে দুআ’র জন্য দাড়ানো।
১১) খানা খাওয়া ( প্রয়োজনীয় পানি পান করা ব্যতিত)।
১২) দুই-তিন তাওয়াফ একত্রে করা, মাঝে তাওয়াফ এর দু’রাকাত নামাজ না পড়া।
১৩) জুমুআ’র খুৎবার সময় তওয়াফ করা।
১৪) নামাজের ইক্বামত আর¤ভ হওয়ার সময় তাওয়াফ আরম্ভ করা।
১৫) প্র¯্রাব,পায়খানা ও বায়ুর চাপ নিয়ে তওয়াফ করা। ক্ষুদা ও ক্রোধের সময় তাওয়াফ করা।
১৬) তাওয়াফ এর ভিতর দুআ’র জন্য হাত তোলা, নামাজের মত হাত বাধা, কোমরে ও গর্দানে
হাত রাখা।
১৭) প্রয়োজন ব্যতিত তাওয়াফ থেকে বের হওয়া।
১৮) রুকনে ইয়ামেনিতে হাত স্পর্শ করতে না পারলে হাতে ইশারা করা।
১৯) হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানির অন্য কোন স্থানে চুমু দেওয়া।
২০) বিনা প্রয়োজনে জুতা পরে তাওয়াফ করা।
**প্রশ্নঃ তাওয়াফ এ হারাম ও বিদ্আ’ত কি কি ?
উত্তরঃ তাওয়াফ এর ভিতর হারাম ও বিদ্আত কাজ ৯টি –
১) রুকনে ইয়ামানি বা রুকনে শামি কে চুমু দেওয়া অথবা তাদের দিকে ইশারা করা।
২) তাওয়াফ শুরু করার পূর্বে কা’বা শরিফ চুমু দেওয়া বা জড়িয়ে ধরা।
৩) মাক্বামে ইব্রাহীমে চুমু দেওয়া বা স্পর্শ করা।
৪) পুরুষ মহিলা মিলে মিলে চলা।
৫) মানুষকে কষ্ট দিয়ে হাজরে আসওয়াদে চুমু দেওয়া।
৬) বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের তাওয়াফ এর জন্য সাধারন লোকদের সরিয়ে দেওয়া।
৭) দ্রুত তাওয়াফ করতে গিয়ে কাউকে কষ্ট দেওয়া।
৮) তাওয়াফ এর ভিতর যে কোন কারনে চেহারা বা বক্ষ কা’বা মুখি রাখা।
৯) মহিলাদের তাওয়াফ এর পর মাক্বমে ইব্রাহীমে বা হাতীমে নামাজ পড়ার জন্য ভীড় করা।
**প্রশ্নঃ ইসতিলামের অর্থ কি ?
উত্তরঃ হাজরে আসওয়াদ কে চুমু দেওয়া বা স্পর্শ করার নাম ইসতিলাম।
মাসায়েলে রমল
১) রমলের অর্থ হলো – হেলে দুলে, দম্ভ ভরে, নিকটে নিকটে পা ফেলে, বাহাদুরের মত চলা।
২) যে তওয়াফের পর সায়ী’ করে তার প্রথম তিন চক্করে রমল করা সুন্নাত।
৩) ভীড়ের কারনে রমল করা না গেলে অপেক্ষা করা, যাতে সুন্নাত মোতাবেক আমল হয়ে যায়।
৪) ভীড় কমার সম্ভাবনা না থাকলে তাওয়াফ শুরু করা ও সাধ্য অনুযায়ী রমল করা।
৫) বৃদ্ধ বা দূর্বল ব্যাক্তি রমল এর সাথে তওয়াফ শুরু করার পর ভীড়ের কারনে যদি রমল করতে না পারে তাতে কোন অসুবিধা নেই। এটা ওজর হিসাবে গণ্য হবে।
৬) ওজর ছাড়া রমল ছেড়ে দিলে তওয়াফ হবে, কিন্তু সুন্নাত তরকের কারনে ছাওয়াব কম হবে।
৭) যদি কেউ রমল করতে ভুলে যায়, তাহলে প্রথম তিন চক্করের মধ্যে যখনই মনে হবে তখন থেকেই রমল করবে। চতুর্থ চক্কর থেকে আর রমল করা যাবে না।
৮) রমল শুধু মাত্র পুরুষের জন্য, মহিলাদের জন্য না।
তওয়াফের পর দু’রাকাত নামাজের মাসআলা
১) তাওয়াফের পর দু’রাকাত নামাজ পড়া ওয়াজিব, চাই সে যে কোন তওয়াফ হোক।
২) নামাজ পড়ার সময় ইজতেবা খতম করে দিবে ,কারন এ সময় ইজতেবা করা মাকরুহ্ ।
৩) তাওয়াফ শেষে বিলম্ব না করা সুন্নাত। বিলম্ব করা মাকরুহ। কিন্তু সে সময়টা যদি মাকরুহ্
ওয়াক্ত হয়, তাহলে মাকরুহ্ ওয়াক্ত পার করে নামাজ পড়বে।
৪) মাক্বমে ইব্রাহীমের পিছনে নামাজ পড়া উত্তম।
৫) সেখানে না পারলে মাসজিদে হারামের যে কোন স্থানে পড়ে নিবে।
৬) এক তওয়াফের পর দু’রাকাত নামাজ না পড়ে অন্য তওয়াফ শুরু করা মাকরুহ্ ।
৭) ফজরের পর সূর্যদয়ের পূর্বে অথবা আছরের পর সূর্যাস্তের পূর্বে যদি তাওয়াফ শেষ হয় আর কেউ
যদি ঐ সময় নামাজ পড়ে নেয়, তাহলে মাকরুহের সাথে নামাজ আদায় হয়ে যাবে। তবে উত্তম
হলো অন্য সময় পড়ে নেওয়া।
বিদায় তাওয়াফের বিধান
বিদায় তাওয়াফ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, যারা মিক্বাতের বাহিরের অধিবাসি তাদের জন্য হজ্জ শেষে বাড়ি যাওয়ার মুহুর্তে কা’বা ঘরের বিদায় তাওয়াফ করা ওয়াজিব। তবে মহিলারা যদি ঐ সময় হায়েয বা নেফাস ওয়ালী হয়ে পড়ে, তবে মক্কা শরিফ থেকে যাওয়ার আগে পবিত্র হয়ে গেলে বিদায়ী তাওয়াফ
করে নিবে, নতুবা তাদের থেকে এ ওয়াজিব মাফ হয়ে যাবে।
বিঃ দ্রঃ হজ্জের মাসে মক্কা শরিফ অবস্থান কালে ওমরা বা অন্য যে কোন আমলের চেয়ে তাওয়াফ করা বেশি উত্তম। তাই বেশি বেশি তওয়াফ করা চাই।