হযরত ওয়ালা দামাত বারকাতুহুম বলেন………..
আমি একদিন থাকব না, আমার লাশ সেদিন দাফন করে দিবা। আমার লাশ যে দিন দাফন করে দিবা, আমার কথা গুলো ও কি সে দিন দাফন করে দিবা ? আমার কথা গুলো কি দাফন হয়ে যাবে ? সেদিন আমার কথা গুলি দাফন করে দিও না। আমার কাজ, আমার ফিকির যেন শেষ হয়ে না যায়। কিয়ামত পর্যন্ত আমার কাজ ও কথা জিন্দা রেখ।
আমি প্রথমত নছিহাত করি আমার নিজের ইসলাহের জন্য, দ্বিতীয়ত আমার মুরিদানদের ইসলাহের জন্য, তৃতীয়ত আনেওয়ালা সমস্ত উম্মাতের ইসলাহের জন্য। তোমরা আমার কথাগুলির হেফাজত কর।
সবার ইসলাহ্ দরকার। ইসলাহ্ না হলে উপায় নেই। তাবলীগওয়ালার ইসলাহ্ দরকার। মাদরাসাওয়ালার ইসলাহ্ দরকার। খানক্বাহ্ওয়ালার ও ইসলাহ্ দরকার। যে ইসলাহ্ হলো, সেই সফলকাম। আর যে ইসলাহ হলো না, তার কোন উপায় নেই। কোন উপায় নেই।
আমি যে কথাগুলি বলি, তা কি মুখস্থ করে বলা যায় ? নিজে তৈরি করে বলা যায় ? না, যায়না। তবে এ কথাগুলি কোথা থেকে আসে ! আমি নিজে ও আশ্চার্য হয়ে যায়। এ সব আমার মুরব্বিদের দোআ’র বরকত। আমার উস্তাদদের দোআ’। বাপ-মা এর দোআ’। শায়েখের দোআ’। আমার কিছুই না। আমি একশভাগ বিশ্বাস করি, এ সব হক্ব কথা আল্লহপাক নিজেই বলেন। আমাকে ব্যবহার করেন। বলেন আল্লহ্ তাআ’লা, নাম হয় আমার। আমি কিছুই বলিনা, আমার জবান বলেনা, আল্লহ্ তাআ’লা নিজেই বলেন। এখন আমার বুঝে আসে হযরত (রুমিয়ে জমান, আরিফবিল্লাহ্, হযরত হাকিম আখতার সাহেব রহঃ) কেন ! কি কথা ! বলে গেছেন ঃ
“দারে রাঝে শরিয়াত খোলতি হ্যায়, ঝুবানে এশ্ক্ব যব কুছ বোলতী হ্যায়।”
হযরত ওয়ালা আরিফবিল্লাহ্ শাহ্ মুফতী নুরুল আমিন সাহেব দামাত বারকাতুহুম ।
“ আমার মনে চায় তোমরা কে আছো হে যুবক !
চাই কওমিয়া কিংবা আলিয়ার আলেম হও অথবা
স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হও,
তোমরা যদি নিজেদের আমিত্বকে মিটিয়ে দিতে পার, তাহলে কোম্পানির পণ্য যেমন যুবকদের দ্বারা প্রচারিত হয়, তেমনি আমি তোমাদের সাথে মিশে প্রিয় নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় সুন্নাতসমূহকে উম্মতের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেব ইনশাআল্লাহ্।”
-হযরত মাওলানা মুফতী নূরুল আমীন সাহেব