বর্তমান এই ফেৎনার যুগে , হক্ব-বাতেলের পার্থক্য বোঝা, সরলপ্রাণ সাধারন মুসলমানদের জন্য বড়ই কঠিন, বরং অসম্ভব প্রায়। তিন খোদার বিশ্বাসীরা নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে ”ঈছায়ী মুসলিম জামাত” খতমে নবুওয়াতের অস্বিকার কারিরা পরিচয় দিচ্ছে ”আহমাদী মুসলিম জামাত” বলে, ত্রিশ পারা কুরআন , পাচ ওয়াক্ত নামাজ অস্বিকার কারিরা নিজেদের বলে ”শিয়া মুসলিম জামাত” শিরক-বিদআতের ধারক-বাহক, কবরপুজারীরা বলে তারা ”সুন্নি জামাত”, ইছমাতে আম্বিয়া ও সাহাবাদের (রাঃ) মি’য়ারে হক্ব হওয়ার বিষয়টি অস্বিকারকারিরা ও নিজেদের ”আহলুস সুন্নাতি ও জামাআতি” এর অন্তর্ভূক্ত মনে করে। ইদানিং আবার একদল ”সহি হাদিস” মানার অজুহাত খাড়া করে দ্বীনের মূল বুনিয়াদ ”কুরআন, হাদিস, ইজমা – কিয়াস” কে অস্বিকার করে , উম্মাতে মুসলিমার ভিতর ফেৎনা সুষ্টি ও ভ্রাতৃত্য বন্ধন নষ্ট করে ও নিজেদের ”আহলে হাদিস” পরিচয়ে সাধারন মানুষকে ধোকা দিচ্ছে । ফলে উম্মাতে মুসলিমা আজ শতধা বিভক্ত হয়ে পড়েছে, সুতরাং এখন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে সত্য প্রকাশের । বাতেলের মূখশ উম্মচনে হক্বের পরিচয় তুলে ধরার।
হক্বপন্থি কারা ? যারা হুযুরে পাক ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আগমনের উদ্দেশ্য পূরণে তিনটি ছিফাত অর্জন করেছেন।
প্রথম, কুরআন সহিহ্ করে শিখেছেন, নামাজ সহিহ্ করেছেন, এর উপর আমল করেছেন। তেলাওয়াত করেছেন হক্ব আদায় করে।
দ্বিতীয়, হক্বপন্থি বুজর্গানে দ্বীন, ( যারা গুনাহ্ থেকে নিজে বাচেন , অন্যকে বাচতে বলেন। নিজে সুন্নাতের উপর চলেন, অন্যকে চলতে বলেন। ) এর কাছে, সুন্নাত তরিকায় ইসলাহে নফস্ তথা আত্মশুদ্ধি করেছে।
তৃতীয়, শরিয়াতের ইলম ও হিকমাত অর্জন করেছে , ও তার উপর আমল করেছে , এক কথায় সহিহ্ মাজহাবের অনুসরণ করেছে, ”সহি হাদিস” মানার অজুহাত দেখিয়ে মনচাহি জেন্দেগী যাপন করে না।
এরাই হক্বপন্থি, আর তাদের জিম্মাদারী হলো , সহি তরিকায় দা’ওয়াত , তালীম , তাজকিয়্যাাহ্ এর মাধ্যমে , ইসলাহে উম্মাতের জন্য পূর্ণ জীবন উৎসর্গ করবে। আর প্রয়োজনে জীহাদের ময়াদনে জান কুরবানির জন্য প্রস্তুত থাকবে।
আল্লাহপাক তৌফিক দান করেন । আমিন ।
( মুহিউস্ সুন্নাহ্ আরিফ বিল্লাহ্ হযরত আল্লামা মুফতি নুরুল আমিন দামাত বারাকাতুহুম এর বয়ান থেকে ( ১৬ ই মে ২০১৬ ঈঃ সকাল ১১ টা , খুলনা খানকা । )