-:নিজ’কে জানুন:-
প্রত্যেকের জন্য উচিৎ নিজেকে নিয়মিত ৫টি প্রশ্ন করা। যে ব্যক্তি নিজেকে এই প্রশ্নগুলি করবে, আর সে মতে প্রস্তুতি গ্রহন করবে, সে চির সফলতা অর্জন করবে। কামিয়াবির সর্বচ্চ সোপানে আরহণ করবে। তার মৃত্যু যন্ত্রনা হবেনা। কবর আজাব থেকে বেঁচে যাবে, সেখানে আরামের নিদ্রায় বিভোর থাকবে। হাশরের ময়দানের স্পেশাল গেষ্ট হাউজ, আরশের ছায়াতলের বিশেষ মেহমান হবে। আল্লহ্পাকের কুদরতি লিফটে, বিজলির গতিতে পুলসিরত পার হয়ে যাবে। পরিশেষে মাওলাপাকের প্রিয়জনদের আবাস জান্নাতে বিনা হিসাবে জায়গা পাবে। তাদের না কোন ভয় থাকবে না কোন দুশ্চিন্তা।
সে পাচঁটি প্রশ্ন হলো :
১) আমি কে ?
২) কোথা থেকে এসেছি ?
৩) কি জন্য এসেছি ?
৪) কোথায় ফিরে যাব ?
৫) কি নিয়ে যাব ?
এই ৫টি প্রশ্নের উত্তর কি, জানতে হবে। উত্তর হলোঃ
প্রথম : এর উত্তর তিনটি ক) আমি আল্লাহর বান্দা। খ) আমি মুসলমান। গ) আমি নবীজী (সাঃ) এর উম্মাত।
*(ক) বান্দা হতে বন্দেগী লাগে। সব থেকে বড় বন্দেগী হলো গুনাহ্ ছাড়া। হুযুর (সাঃ) বলেন “তুমি
সমস্ত হারাম (গুনাহ্) থেকে বেচে থাক, তাহলে সব থেকে বড় আবেদ হতে পারবে।
*(খ) মুসলমান হতে কুরআন লাগে। অর্থাৎ কুরআনের হক্ব আদায় করা লাগে। কুরআনের হক্ব ৪টি,
যথা : ১) আজমত করা।
২) মুহাব্বাত করা।
৩) সহি-শুদ্ধ তেলাওয়াত করা।
৪) হুকুম-আহকামের ইত্বআ’ত করা।
*(গ) উম্মাত হতে সুন্নাত লাগে। সকল সুন্নাতের অনুসরন করা। নবীজী (সাঃ) এর দায়েমী সুন্নাত হলো,
“কোন গুনাহ্ করব না, কোন নেকি ছাড়ব না।” গুনাহ্ হয়ে গেলে তওবা করে নেব, সুন্নাত ছুটে
গেলে আদায় করে নেব।
দ্বিতীয় ঃ আমি আসিনি। আল্লহ্পাক আমাকে পাঠাইছেন। জান্নাত থেকে, নবী দিয়ে, কুরআন দিয়ে, ইবাদাত
দিয়ে, রুহ্ দিয়ে, শরির দিয়ে পাঠাইছেন।
তৃতীয়ঃ এ জন্য যে, ১। আমি নবী বা নায়েবে নবী ধরে, মুরব্বি ধরে, মুরব্বা হয়ে, ইসলাহ্ হয়ে, মাটির তাছির
কৃপনতা, আগুনের তাছির অহংকার, বাতাসের তাছির মাতব্বারি, পানির তাছির লোভ কে খতম করে,
নফস কে ক্বলবে সালিম, মুত্বমায়িন্না বানিয়ে, মানুষের মত মানুষ হতে আসছি। ২। মুসলমান হতে
আসছি। ৩। আল্লহ্ পাকের ওলি হতে আসছি।
চতুর্থ : আল্লহর বান্দা আল্লহর কাছে ফিরে যাব।
পঞ্চম : মানুষত্ব নিয়ে যাব। মুসলমানিত্ব নিয়ে যাব। ওলীত্ব বা আল্লহ্ পাকের বন্ধুত্ব নিয়ে যাব।