নামাজে খুশু-খুজু’ হাছেলের সহজ তরিকা :-
হযরত ওয়ালা দামাত বারকাতুহুম এর ফুয়ূজাত থেকে –
আল্লহ্ তাআ’লা বলেন, খুশু-খুজু’ ওয়ালা মুমিন -ই সফলকাম (সূরা মুমিন- ২), আর অভিসম্পাত ঐ সকল মুমিনের উপর, যারা নামাজে গাফেল (সূরা মাউন – ৫)। খুশু-খুজু’ এর সর্বচ্চ হালাত “আল্লহ তাআ’লা কে দেখে দেখে নামাজ পড়া। আর সর্বনিম্ন হালাত হলো, নামাজে কখন কি আমল করতিছে তা মনে রাখা।” হযরত থানবী রহঃ তার তরবিয়াতুছ্ ছলিহীন কিতাবের ভিতর লিখেছেন, খুশু-খুজু’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য ও এতটুকুই যে, “মুছল্লি কখন কি করছে, তা মনে রাখবে।” তবে এতটুকু ও আমাদের জন্য কঠিন মনে হয়।
হযরত ওয়ালা আরিফবিল্লাহ্ মুহিউস্সুন্নাহ্ শাহ্ মুফতী নুরুল আমিন সাহেব দামাত বারকাতুহুম বলেন, সহজে খুশু-খুজু’ হাছিলের ত্বরিক্বা হলো, নামাজের ভিতর সকল সুন্নাত গুলি যথাযত আদায় করা। বিশেষ করে, তিনটি অঙ্গের সুন্নাত আদায় করা।
আর তা হলো, ক) চোখ, খ) হাত, গ) পা।
ক) চোখের সুন্নাত ৫ টি। তা হলোঃ ১) দাড়ানো অবস্থায় সিজদার স্থানে। ২) রুকু’ অবস্থায় দুই- পায়ের দিকে। ৩) সিজদার ভিতর নাকের দিকে। ৪) বসা অবস্থায় কোলের দিকে। ৫) সালাম ফিরানোর সময় দুই কাধেঁর দিকে নজর রাখা।
খ) হাতের সুন্নাত ৪ টি। তা হলোঃ ১) দাড়ানো অবস্থায় ডান হাতের কনিষ্ট ও বৃদ্ধা আঙ্গুল দ্বারা বাম হাতের কব্জি প্যাঁচায় ধরা। ডান হাতের বাকি আঙ্গুল গুলি বাম হাতের বাহুর উপর রাখা। নাভির নিচে হাত বাধা। ২) রুকু অবস্থায় হাঁটু আকড়ে ধরা। ৩) সিজদার ভিতর আঙ্গুল গুলি ক্বিবলা মুখি করে জমিনের সাথে খুব মিলিয়ে রাখা। ৪) অন্য সব হালাতে হাত স্বাভবিক রাখা।
গ) পায়ের সুন্নাত ১ টি। তা হলোঃ পায়ের সামনে পিছনে সমান ফাঁকা রেখে আঙ্গুল কিবলামুখি করা ও দু’ পায়ের মাঝে চার আঙ্গুল পরিমান ফাঁকা রাখা।
উক্ত তিন অঙ্গের এই ১০ টি সুন্নাত আদায় করলে, আসা করা যায় আল্লহ্ জাল্লা শানহু তাকে অতিসত্বর খুশু-খুজু”র নিয়ামত দানে ধন্য করবেন।