মক্কা হতে হযরতের নছিহাত

Spread the love

(বাংলাদেশ সময় হিসাবে-১০ ই জিলহজ্জ ১৪৩৮ হিঃ  ঈদুল আজহাহ্ এর দিন  মুতাবেক ১৩ ই
সেপ্টেম্বর  ২০১৬ ঈঃ রোজ বুধবার – সকাল ১০.২৬ মিনিটে মিনা হতে হযরতের অমূল্য নছীহাত)

মক্কা হতে হযরতের নছিহাত উম্মাতে মুহাম্মাদি  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর প্রতি :
হাজী সাহেবদের জন্য ৫টি প্রশ্ন :
১) প্রশ্ন : আমি কে ?
   উত্তর : আমি আল্লহ্ পাকের মেহমান ।
২) প্রশ্ন : কিভাবে আসলাম ?
    উত্তর : আল্লহ্ পাকের রহমতে ।
৩) প্রশ্ন : কি জন্য আসলাম ?
   উত্তর : হজ্জে পরিক্ষা দেওয়ার জন্য ।
৪) প্রশ্ন : কি নিয়ে যাব ?
   উত্তর : হজ্জে মাবরুর নিয়ে যাব ।
৫) প্রশ্ন : আখেরাতে কি পাব ?
   উত্তর : এর বিনিময়ে জান্নাত পাব ।
একটি  ভাবনা :
আমি কে ? আমি আল্লহ্ তাআ’লার মেহমান । মেহমানের কাজ কি ? মেজবান কে খুশি করা ।
মেজবান কে ? আল্লহ্ তাআ’লা। মেজবান খুশি হয় কিসে ? কোন গুনাহ্ না করলে ।
সুন্নাত মানলে । রাগ না করলে । যেমন আল্লহ্  তাআ’লা  বলেছেন -“ লা রফাসা ওয়া লা ফুসুক্ব ওয়া
 লা জিদালা ফিল হাজ্জ ”। অনুরুপ ভাবে মেজবান খুশি হয় কিসে ? সবর করলে । মানুষকে ক্ষমা
করলে । অনুরুপ ভাবে মেজবান খুশি হয় কিসে ? আল্লহ্  পাকের রাস্তায় দান করলে । মেহমানদারী
করলে । খেদমত করলে । আল্লহ্ তাআ’লা পৃথিবীর সবাই কে ক্ববুল হজ্জ দান করুন । বেশি বেশি সবর   করার তৌফিক দান  করুন।( আমিন )

শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ্ মুহাদ্দিসে দেহলবি রহঃ হুজ্জাতুল্লাহিল  বালিগাহ্  কিতাবের  মধ্যে লিখেছেন,  
মুফতী সাঈদ আ‏হমাদ পালনপুরি দাঃ বাঃ এর শরাহ্  করেছেন। তিনটি  গুন যার মধ্যে থাকবে , তার
ইসলাহ্ হবেই হবে। দান ক্ববুল হবেই হবে। হজ্জ ক্ববুল হবেই হবে।(ইনশাআল্লহ্) ।
 সেই তিনটি গুন হলো ঃ  সবর , ক্ষমা, দান ।
 সবর তিন প্রকার , ক্ষমা তিন প্রকার , দান তিন প্রকার ।
সবর তিন প্রকার হলো : ১) সবর আ’লাত্ ত্বআ’ত ।(ইবাদাত করতে যে কষ্ট তার উপর সবর)
                                ২) সবর আ’নিল মা’ছিয়াত ।(গুনাহ্ ছাড়তে যে কষ্ট হয় তার উপর সবর)
                                ৩) সবর ফিল মুছিবাত ।( বিপদে পড়লে তার উপর সবর)
ক্ষমা তিন প্রকার হলো : ১) যখন রাগ হয়, দমন করা।
                              ২) যার উপর রাগ হয়, তাকে ক্ষমা করা।
                              ৩) যার উপর রাগ হয়, পাল্টা তার উপর ইহ্সান করা।
দান তিন প্রকার হলো : ১) ফরজ দান যেমনঃ যাকাত আদায় করা ।
                              ২) ওয়াজিব দান যেমনঃ কুরবানি করা।
                               ৩) নফল দান যেমনঃ মে‏হমানদারি করা।
এই তিন তরিকার  নয়টি কাজ যে করবে, সে আল্লহ্ তাআ’লার ওলি হবেই হবে।তার হজ্জ ক্ববুল
হবেই হবে। তার ইসলাহ্ হবেই হবে। (ইনশাআল্লাহ্) ।

কোন হালাতে কোন স্থানে কোন কাজ বেশি করতে হবে :
আমি এখানে আরাফার দিনে একটি কথা বলেছিলাম, কোন হালাতে কোন স্থানে কোন কাজ বেশি
করতে হবে :
১) ইহরামের হালাতে – তালবিয়া বেশি পড়তে হবে।
২) মক্কা শরিফে – দোআ’ বেশি বেশি করতে হবে।
৩) মিনা, আরাফাহ্, মুঝদালেফায় – তালবিয়া সহ তওবা, দোআ’ , কান্নাকাটি  বেশি করতে হবে।
৪) মদিনা শরিফে – দুরুদ-সালাম বেশি বেশি পড়তে হবে।

সর্ব হালাতে : কু’ দৃষ্টি, কু’ কথা, কু ধারনা একেবারেই করবে না। কোন সুন্নাত ছাড়বে না। খুব
বেশি বেশি খেদমত করবে। নিজেকে সব থেকে বেশি অধম ভাববে।কেউ কষ্ট দিলে  ক্ষমা করতে
 থাকবে।                               (৯ ই জিলহজ্জ, ফজরের পূর্বে মিনায় বসে, একথা গুলি হইছে ।)