প্রতি আরবী মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার মাসিক ইজতেমা স্থান : জিরো পয়েন্ট, বাইতুল উলুম কওমী মাদরাসা , প্রতি বৃহস্পতিবার বাদ আছর সাপ্তাহিক এসলাহী মজলিস ও রাত্রে সবগুজারি এবং প্রতি শুক্রবার বাদ ফজর দাওয়াতুল হকের সাপ্তাহিক মজলিস।

আমার লাশ যখন দাফন করবা…………

আমার লাশ যখন দাফন করবা…………
হযরতওয়ালা দামাত বারকাতুহুম বলেন, ইদানিং আল্লহ্ জাল্লাজালালুহু তাজদিদী কথা দিলে ঢালছেন। যা আমি নিজে কখনও ভাবিনা। এটা আল্লহ্ পাকের দান। আমার মুরব্বিদের বরকত, আমার হযরতের বরকত। আল্লহ্ পাক এরকম দান করেন, এ কথা হযরত বলতেন, কিন্তু তখন বুঝতাম না। তোমরা এগুলির হেফাজত কর।
আল্লহ্ তাআ’লার জন্য কাজ কর। ইখলাসের সাথে, রিয়া মুক্ত। কোন কাজ যেন কাগজের ফুল না হয়। (যা দেখতে সুন্দর কিন্তু কোন কাজের না । ঘ্রান ছড়ায় না। নিজে উপকৃত হয় না। অন্যকে ও উপকার পৌছায় না।) মুনাফেকরা নবীজীর (ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে ছিল। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। নাজাত মেলেনি।
সুতরাং, সবার ইসলাহ্ দরকার। ইসলাহ্ না হলে উপায় নেই। তাবলীগওয়ালার ইসলাহ্ দরকার। মাদরাসাওয়ালার ইসলাহ্ দরকার। খানক্বাহ্ওয়ালার ও ইসলাহ্ দরকার। যে ইসলাহ্ হলো, সেই সফলকাম। আর যে ইসলাহ হলো না, তার কোন উপায় নেই। কোন উপায় নেই।
হাসান….., আমি একদিন থাকব না।   ও হাসান….., আমি থাকব না।
ও হাসান…….., আমার লাশ যে দিন দাফন করে দিবা, আমার কথা গুলো ও কি সে দিন দাফন করে দিবা ?
ও হাসান…….., আমার কথা গুলো দাফন হয়ে যাবে ?
ও হাসান…….., সেদিন আমার কথা গুলিও দাফন করে দিও না।
ও হাসান ………, আমার কাজ, আমার ফিকির যেন শেষ হয়ে না যায়।
আমি প্রথমত নছিহাত করি আমার নিজের ইসলাহের জন্য, দ্বিতীয়ত আমার মুরিদানদের ইসলাহের জন্য, তৃতীয়ত আনেওয়ালা সমস্ত উম্মাতের ইসলাহের জন্য। তোমরা আমার কথাগুলির হেফাজত কর।
তোমাদের অনেক কষ্ট দেই। কষ্ট নিওনা। আল্লহ্র ওয়াস্তে কাজ কর। ইখলাসের সাথে। নিজেকে বড় মনে করেনা। সবসময় মনে করবে :

“কুছ্ হোনা মেরা জিল্লাত ও খারি কা সবাব হ্যায়।
                                        ইয়ে হ্যায় মেরা এজাজ কেহ্ ম্যায়, কুছ ভি নেহি হো।”
অর্থাৎ
    “নিজেকে কিছু মনে করাই, আমার অপদস্ততা ও লাঞ্চনার কারন।
                                                এটাই আমার কারিশমা, যে আমি কিছুই না।”
হুজুরে পাক (ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন। যে আল্লহ্পাকের জন্যে বিনয়ী হয়, আল্লহ্ পাক তার মর্যাদা বুলন্দ করেন। আর যে অহংকার করে, আল্লহ্ পাক তাকে অপদস্ত করেন।