আরিফবিল্লাহ্ হযরত আল্লামাহ্ শাহ্ মুফতী নুরুল আমিন সাহেব দামাত বারকাতুহুম
হযরত ওয়ালা দাঃ বাঃ বলেন ফয়েজের উদাহন টেঙ্কির মত। কোন টেঙ্কি পূর্ণ হওয়ার পর, যা উপচে পড়ে, তাকে টেঙ্কির ফয়েজ বলে। অনুরুপ ভাবে কোন আলেম, মুরুব্বি বা বুযর্গ যখন নিজের সকল ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাতে মুআক্কাদাহ্ হুকুম গুলি আদায় করে নিজের এলম ও আমলের টেঙ্কি পূর্ণ করে নেয়, এর পর সে যত নফল ইবাদাত করে, জাহেরী- বাতেনী আমলগুলি দ্বারা ওভার লোড করে, তাহাজ্জুদ, তিলাওয়াত, জিকির দ্বারা জাহের কে সাজায়। তাওয়াক্কুল, সবর, আল্লহ্ তাআ’লার গভীর মুহাব্বাত দ্বারা বাতেন কে আলোকিত করে। তখন উম্মাত তাদের রুহানী ফয়েজ লাভে ধন্য হয়। যে ব্যাক্তি ফরজিয়াত দ্বারা এলম-আমলের টেঙ্কি পূর্ণ করলনা, অথবা পূর্ণ তো করল ঠিকই, কিন্তু তাওয়াক্কুল,সবর, মুহাব্বাত, জিকির, তিলাওয়াত, তাহাজ্জুদ দ্বারা তার আমলের টেঙ্কি ওভারলোড করল না, উম্মাত তার থেকে কি পাবে ? এজন্য দাওয়াত, তালীম, তাজকিয়্যাহ্, জিহাদ, রাজনীতি বা দ্বীনের অন্য যে কোন খেদমত দ্বারা উম্মাতের হেদায়েতের ফিকিরের আগে, নিজের ফরজী আমল শুধু পূর্ণ করলেই চলবে না, জাহেরী – বাতেনী আমল দ্বারা তা উন্নত ও বৃদ্ধি করতে হবে। তবেই উম্মাত হেদায়েত পাবে, ফায়দামান্দ হবে। অন্যের সংশোধনের তুলনায় নিজের সংশোধন অতি বেশি প্রয়োজন।